বাইক্কা বিলবাইক্কা বিল

বাইক্কা বিল


ঢাকা থেকে ২০০ কিলোমিটার উত্তর-পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার বিখ্যাত চা-সমৃদ্ধ শহর শ্রীমঙ্গলের হাইল হাওরের পূর্ব দিকের প্রায় ১০০ হেক্টর আয়তনের একটি জলাভূমির নাম বাইক্কা বিল। হাইল হাওরের প্রাণ বাইক্কা বিল। ১ জুলাই ২০০৩ সালে বাংলাদেশের ভূমি মন্ত্রনালয় ‘ইউএসএইস’-এর অর্থায়নে এই বিলটিকে মৎস্য সম্পদের এবং পাখীদের স্থায়ী অভয়াশ্রম হিসেবে সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। পুরো হাওর ছড়িয়ে আইড়, কই, মেনি, ফলি, পাবদাসহ আরো অনেক প্রজাতির মাছের বংশবৃদ্ধি করানো হয়েছে। এই হাওর মৎস্য চাষের পাশাপাশি পাখি এবং অন্যান্য অনেক প্রাণীর জন্যও একটি চমৎকার নিরাপদ আবাসস্থল। এটি একটি নয়নাভিরাম জলাভূমি যেখানে হাজারো শাপলা আর পদ্ম ফুল ফোটে। বিলের কিনারে ফোটে হাজারো পানা। বিলের পানিতে সকাল-সন্ধ্যা চলে রঙিন ফড়িঙয়ের বিরতিহীন ওড়াওড়ি। বৃষ্টিহীন উষনদিনে বিলের ফুলের পাশে আসে আরো একদল পতঙ্গ প্রজাতি। প্রকৃতি প্রেমীদের চোখে পাখিই এই অভয়াশ্রমের সেরা প্রাণী। এই বিলের উল্লেখযোগ্য পাখি- পানকৌড়ী, কানিবক, ধলাবক, গোবক, ধুপনিবক, রাঙ্গাবক, দলপিপি, নেউপিপি, পান মুরগি, বেগুনি কালেম, কালোমাথা কাস্তেচরা, শঙ্খচিল, পালাসী কুড়া ঈগল। প্রতিবছর শীত মৌসুমে প্রচুর পরিযায়ী পাখির সমাগম ঘটে এখানে। শীতের অতিথি হয়ে এই বিলে আসে অনেক জাতের সৈকত পাখি। এদের মধ্যে রয়েছে গেওয়ালা বাটান, মেটেমাথা চিটি আর কালাপঙ্খ ঠেঙ্গী, ধলা বালিহাঁস, পাতি সরালী, রাজ সরালী, মরচেরং, ভূতিহাঁস, গিরিয়াহাঁস, ল্যাঙ্গাহাঁস, গুটি ঈগল।

২০১১ সালের এক গবেষণায় বাইক্কা বিলে ২০৩ প্রজাতির পাখি শনাক্ত করা হয়েছে। যার মধ্যে পরিযায়ী পাখি ১৫৩ টি এবং স্থায়ী বসবাসকারী পাখি ৫০ টি। বাইক্কা বিলকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণার পর থেকে এখানে পাখির সংখ্যা আগের বছরগুলোর তুলনায় বেড়েই চলেছে। দেশীয় ও পরিযায়ী পাখির চলাচল, গতিবিধি, পর্যবেক্ষণ ও পাখির জীবনাচরণের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ এবং দীর্ঘমেয়াদি গবেষণার জন্য পাখিদের পায়ে রিং পরানো হয়েছে। ২০১১ সালে ৩১ প্রজাতির পাখির পায়ে শনাক্তকারী আংটি পড়ানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ প্রজাতির পরিযায়ী পাখি এবং ১৪ প্রজাতির স্থায়ী বসবাসকারী পাখি রয়েছে এবং ৪ টি নতুন প্রজাতির পরিযায়ী পাখির দেখা মিলেছে। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পাখি পর্যবেক্ষকদের  মতে এগুলো হলো – বড়ঠুঁটি নলফুটকি, উদয়ী নলফুটকি, বৈকাল ঝাউফুটকি ও সাইক্সের ফুটকি।

এই বিলের বুনো বাসিন্দা আর শীতে আগত পরিযায়ী পাখিদের ভালোভাবে দেখার জন্য তৈরি করা হয়েছে একটি পর্যবেক্ষণ টাওয়ার।

কখন যাবেন
নভেম্বর থেকে পরবর্তী ফেব্রুয়ারী মাসের মাঝামাঝি সময় বাইক্কা বিল ভ্রমণের উপযুক্ত সময়। এ সময় এখানে প্রচুর পরিযায়ী পাখির কলকাকলীতে চারিদিক মুখর থাকে। মাছ প্রেমীদের জন্যেও এই মৌসুম সেরা। 
বিশেষ পরামর্শ
বাইক্কা বিলের আশেপাশে কোথাও কোনো ভালো বাজার না থাকায় চাইলে সঙ্গে হালকা খাবার নিতে পারেন।
বিশেষ সতর্কতা
  • বিলে পিকনিক করা যাবেনা।
  • উচ্চ শব্দ ও হৈ চৈ করা যাবেনা।
  • পাখি বা অন্যান্য বন্য প্রাণীদের কোনোভাবে বিরক্ত করা যাবেনা।
  • নির্দিষ্ট এলাকার মধ্যে চলাফেরা করতে হবে।
  • পাখি ও অন্যান্য কোনো বন্যপ্রাণী শিকার করা যাবেনা।
  • বিলের ভিতর নৌকা চালানো যাবেনা।
  • কোনো প্রকার অসামাজিক কাজে লিপ্ত হওয়া যাবেনা।
  • বিলের মধ্যে আগুন জ্বালানো যাবেনা।

দেশের বিভিন্ন বিভাগীয় শহর দূরত্ব
ঢাকা
১৯৪ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রাজশাহী
৪০৯ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
রংপুর
৪৫৮ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
সিলেট
৮১ কি.মি. (সিলেট – মৌলভীবাজার হাইওয়ে হয়ে শ্রীমঙ্গল গেলে)
ময়মনসিংহ
২৩৬ কি.মি. (ভৈরব রোড হয়ে গেলে)
খুলনা
৩৯৭ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
বরিশাল
৩৫৯ কি.মি. (ঢাকা – সিলেট হাইওয়ে হয়ে গেলে)
চট্টগ্রাম
৩২৬ কি.মি. (ঢাকা – চট্টগ্রাম হাইওয়ে হয়ে গেলে)

বাইক্কা বিল যেতে আপনাকে আগে শ্রীমঙ্গল অথবা সিলেট হয়ে শ্রীমঙ্গল যেতে হবে।

ঢাকা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস ঢাকার বাসস্টান্ড সমূহ:-

  • মহাখালী
  • উত্তরা
  • আবদুল্লাহপুর
  • টুঙ্গী
  • ফকিরাপুল
  • সায়েদাবাদ
  • বনানী
  • বিজিবি মার্কেট
  • এয়ারপোর্ট
  • গাবতলী
  • কাচপুর
  • মাজার রোড
  • কল্যানপুর
  • আসাদগেট
  • কলাভবন
  • কমলাপুর
  • গোলাপবাগ
  • জনপথ
  • শনির আখড়া
  • সাইনবোর্ড
  • চিটাগাং রোড
  • আরামবাগ
বাস সমূহ:-

  • বিলাশ পরিবহণ
  • হানিফ পরিবরণ
  • এনা ট্রান্সপোর্ট

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন ঢাকা থেকে যাওয়ার ট্রেনসমূহ-
ঢাকা কমলাপুর কিংবা বিমান বন্দর রেলস্টেশন থেকে শ্রীমঙ্গল স্টেশন পর্যন্ত ট্রেনসমূহ-

  • পারাবত এক্সপ্রেস (৭০৯) (মঙ্গলবার বন্ধ)
    ছাড়ায় সময় ভোর ০৬:৩০
  • কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩) (শুক্রবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় দুপুর – ০২:৫৫
  • উপবন এক্সপ্রেস (৭৩৯) (বুধবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় রাত – ১০:০০

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

বিমান বিমানসমূহ:-
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সিলেট বিমানবন্দর যাওয়ার বিমানসমূহ-

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার
  • এয়ার এস্ট্রা

রাজশাহী থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • রাজশাহী বাসস্ট্যান্ড

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রাজশাহী থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • মধুমতি এক্সপ্রেস
  • সিল্কসিটি এক্সপ্রেস
  • পদ্মা এক্সপ্রেস
  • ধুমকেতু এক্সপ্রেস

[যেহেতু ঢাকা মেইল ট্রেন ধরতে হবে। তাই প্রথমে নাটোর থেকে দ্রুতযান এক্সপ্রেস দিয়ে ঢাকা যাওয়া ভালো]

বিমান বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

রংপুর থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ঢাকা বাসস্টান্ড (কামারপাড়া)
  • পাগলাপীর
  • জাইগীরহাট

বাস সমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
  • এনা পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[রংপুর থেকে সিলেট সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস
  • রংপুর এক্সপ্রেস
বিমান

[রংপুরে কোনো বিমানবন্দর না থাকায় সৈয়দপুর থেকে আপনাকে সিলেট যেতে হবে।]

বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

সিলেট থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

(বাইক্কা বিল সিলেট বিভাগে হওয়ায় শ্রীমঙ্গল যেতে মৌলভীবাজারগামী অথবা শ্রীমঙ্গলগামী সরাসরি লোকাল ও মেইল বাস পেয়ে যাবে। তবে যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

(সিলেট থেকে সরাসরি কক্সবাজার যাওয়ার কোনো ট্রেন সার্ভিস না থাকায় আপনাকে আগে ঢাকা অথবা চট্টগ্রাম যেতে হবে।)

সিলেট থেকে শ্রীমঙ্গল যাওয়ার ট্রেনসমূহ:-

  • কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৪) (শুক্রবার বন্ধ)
    ছাড়ায় সময় ভোর ০৬:১৫
  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস (৭২০) (বুধবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় সকাল – ১০:৩০
  • জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮) (বৃহস্পতিবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় দুপুর – ১২:০০
  • পারাবত এক্সপ্রেস (৭১০) (সোমবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় বিকাল – ০৪:০০
  • উদয়ন এক্সপ্রেস (৭২৪) (রবিবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় রাত – ১০:০০
  • উপবন এক্সপ্রেস (৭৪০) (রবিবার বন্ধ) 
    ছাড়ার সময় রাত – ১১:৩০

(ট্রেনের সময় এবং চলাচলের দিন পরিবর্তন হতে থাকে। তাই যাত্রাপূর্বে খোঁজ নিয়ে যাওয়া ভালো।)

ময়মনসিংহ থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • কালিবাড়ি

বাস সমূহ:-

  • সাগরিকা এন্টারপ্রাইজ
  • ইউনাইটেড
  • শামীম এন্টারপ্রাইজ
  • প্রাইম এন্টারপ্রাইজ

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[ময়মনসিংহ থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই।]

খুলনা থেকে যাওয়ার উপায়

বাস

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো বাস নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • ফুলতলা
  • ফুলবাড়ি গেট
  • দৌলতপুর
  • নতুন রাস্তা
  • আফিল গেট
  • বয়রা বাজার

ঢাকা যাওয়ার বাস সমূহ:-

  • এনা পরিবহন
  • টাইম ট্রেভেলস
  • সেইন্টমার্টিন হুন্ডাই (রবি এক্সপ্রেস)
  • সোহাগ পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ট্রেন নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর ট্রেনে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার জন্য জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • সুবর্ণা এক্সপ্রেস
  • চিত্রাংদা এক্সপ্রেস/চিত্রা এক্সপ্রেস
বিমান

[খুলনা থেকে সিলেটে সরাসরি কোনো ফ্লাইট নেই। আপনাকে আগে ঢাকা গিয়ে তারপর বাসে অথবা ট্রেনে অথবা বিমানে যেতে হবে।]

ঢাকা যাওয়ার বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভোএয়ার

বরিশাল থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • বরিশাল বাসস্ট্যান্ড (নাটুল্লাবাদ)

বাসসমূহ:-

  • হানিফ পরিবহন
বিমান বিমানসমূহ:-

  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স

চট্টগ্রাম থেকে যাওয়ার উপায়

বাস বাস স্টান্ডসমূহ:-

  • দামপাড়া
  • কর্ণেল হাট
  • অলংকার

বাস সমূহ:-

  • সৌদিয়া পরিবহন

(যাত্রা পূর্বে অবশ্যই কোথায় যাচ্ছেন, পরিবহনগুলো আপনার গন্তব্য অবধি যাবে কিনা তা ভালোভাবে যাচাই করে নিবেন। কেননা সময় পরিবর্তনের সাথে তথ্যগুলোও পরিবর্তনশীল)

ট্রেন জনপ্রিয় ট্রেনগুলির মধ্যে রয়েছে:

  • পাহাড়িকা এক্সপ্রেস
  • উদয়ন এক্সপ্রেস
বিমান বিমানসমূহ:

  • ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্স
  • বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স
  • নভো এয়ার

শ্রীমঙ্গল থেকে বাইক্কা বিলে যাওয়ার জন্য সরাসরি কোনো পরিবহণ নেই। তাই ভাড়া করা গাড়ি অথবা নিজস্ব গাড়িতে যেতে হবে। শ্রীমঙ্গল থেকে বাইক্কা বিলে যাওয়া আসার জন্য সিএনজি চালিত বেবি টেক্সি রিজার্ভ করা যায়। এক্ষেত্রে সারাদিনের জন্য রিজার্ভ করলে ভাড়া ৮০০ থেকে ১ হাজার পরবে। আর জিপ কিংবা মাইক্রবাসের ভাড়া পরবে ১ হাজার ৫ শত থেকে ২ হাজার ৫ শত টাকা পর্যন্ত। এছাড়া শ্রীমঙ্গল শহরের সামনে থেকে লোকাল অটো রিক্সায় চড়ে যেতে হবে বরুনা বাজার। জনপ্রতি ভাড়া পরবে ৫০ টাকা। সেখানে থেকে অটো রিক্সাতে বাইক্কা বিল যেতে পারবেন। ভাড়া পাঁচ কিলোমিটার দুরত্ব অনুযায়ী দামাদামি করে নিবেন। 

শ্রীমঙ্গল শহর ছেড়ে মৌলভীবাজার সড়কে প্রায় ১০ কি.মি পথ চলার পর মূল সড়ক ছেড়ে হাতের বাঁয়ে পাকা সড়কটি একেঁবেকেঁ চলে গেছে বাইক্কা বিল। তবে এ পথে বরুনা বাজারের পর আরো দুই কিলোমিটার পাকা পথ। তারপরের সড়কটি কাঁচা। বৃষ্টি না হলে এই সড়কটি পরিবহণের উপযোগী থাকে। কাঁচা সড়কে প্রায় তিন কিলোমিটার হাটলেই বাইক্কা বিলের প্রবেশ পথ। বাইক্কা বিল থেকে ফেরার সময় বাহন পাওয়া কঠিন। তাই যে অটো বা রিক্সায় বাইক্কা বিল যাবেন তাকে একটি নির্দিষ্ট সময় বলে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য ঠিক করে রাখবেন।


থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা

(বাইক্কা বিলের কাছে তেমন কোনো থাকার ব্যবস্থা অথবা খাওয়ার ব্যবস্থা না থাকায় আপনাকে শ্রীমঙ্গলে অথবা সিলেটে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। অথবা ঢাকা থেকে বাইক্কা বিলে আসলে দিনেই আবার ফিরে যাওয়া যায়।)

আবাসিক হোটেলসমূহ

শ্রীমঙ্গলের কিছু পাঁচ তারকা মানের হোটেলসমুহ:-

  • হোটেল গ্রান্ড সুলতান
  • রেইন ফরেস্ট রিসোর্ট
  • হোটেল প্লাজা
  • টি টাউন রেস্ট হাউস
  • বি.টি.আর.আই
  • নভেম ইকো রিসোর্ট
  • শান্তি বাড়ি রিসোর্ট
  • বালিশিরা রিসোর্ট
  • টিলাগাঁও ইকো ভিলেজ
  • দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা ইত্যাদি।

সিলেটের হোটেলসমুহ:-

  • হোটেল মেট্রো ইন্টারন্যাশনাল (বন্দর, শিশুপার্কের কাছে)
  • হোটেল নির্ভানা ইনন (রামের দিঘির পাড়, মির্জা জাঙ্গাল)
  • হোটেল স্টার প্যাসিফিক (ইস্ট দরগাহ গেইট)
  • হোটেল অনুরাগ (ধোপা দীঘি নর্থ)
  • সুরমা ভ্যালি গেস্ট হাউস (জেলা প্রশাসক/পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের পার্শ্বে)
  • হোটেল উর্মি (মাজার শরীফ পূর্ব গেইট)
  • হোটেল রোজ ভিউ (শাহ জালাল উপশহর)
  • হোটেল হিল টাউন (ভিআইপি রোড)
  • হোটেল ফরচুন গার্ডেন (নাইত্তর পুল)
  • হোটেল ডালাস (জেল সড়ক)
  • হোটেল গার্ডেন ইনন (লিংক রোড)
  • হোটেল পলাশ (আম্বরখানা)
  • হোটেল দরগা গেইট (দরগা এলাকা)
  • হোটেল মুন লাইট (জিন্দাবাজার)
  • হোটেল গুলশান সেন্টার (তালতলা)

 (উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন।)

মৌলভীবাজারে হোটেলসমুহ:-

  • সুইস ভ্যালী রিসোর্ট (শমশেরনগর)
  • হোটেল ওয়েস্টার্ণ প্লাজা (সেন্ট্রাল রোড)
  • হোটেল পাপড়িকা (কুসুমবাগ)
  • তাজ মেট্রো হোটেল (এম সাইফুল রহমান রোড)
  • রেস্ট ইন হোটেল (এম সাইফুল রহমান রোড)
  • মুক্তা নগর রিসোর্ট (শেরপুর, পিটুয়া)
  • রাঙ্গুউটি রিসোর্ট (তালতলা)
  • দুসাই রিসোর্ট এন্ড স্পা (নিতেশ্বর গিয়াশনগর)
  • নভেম ইকো রিসোর্ট (লাউয়াছড়া)

 (উক্ত আবাসিক হোটেলসমূহের নাম দিয়ে ইন্টারনেটে সার্চ দিলে বুকিং সম্পর্কিত সকল তথ্য পেয়ে যাবেন। এছাড়াও আরো অনেক আবাসিক হোটেল মৌলভীবাজার এর সরকারি ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়)

রেস্টুরেন্টসমূহ শ্রীমঙ্গলের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:

  • গ্রান্ড তাজ
  • হাবিব হোটেল
  • কুটুমবাড়ি
  • শ্রীমঙ্গল ইন।

সিলেট শহরের জিন্দা বাজারের জনপ্রিয় খাবার হোটেল:

  • পাঁচ ভাই
  • পানশি
  • ভোজনবাড়ী
  • স্পাইসি
  • পালকি

(শ্রীমঙ্গল সহ মৌলভীবাজার ও সিলেট শহরের যেকোনো জায়গায় কিংবা আবাসিক হোটেলের আশেপাশে অনেক রেস্টুরেন্ট পাবেন।)

বি.দ্রঃ সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে অনেক নতুন নতুন থাকার এবং খাওয়ার হোটেল/রেস্টুরেন্ট তৈরি হয়।

ভ্রমণের সুবিধা হল

  • উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা।
  • পরিবার/দম্পতি বা বন্ধুদের সাথে উপযুক্ত সময় কাটানোর সুবিধা।
  • সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশ।

পরামর্শ: প্রথমত, গাড়ি বা নৌকা ভ্রমণ, হোটেল বুকিং, খাবার কিংবা কোন কিছু কেনার পূর্বে দর কষাকষিতে সর্বদা সতর্ক থাকবেন। এছাড়াও-

  • প্রয়োজনে ছাতা বা রেইনকোট নিবেন।
  • স্থানীয় গাইডের সাহায্যে পুরো অঞ্চল সুন্দরভাবে ঘুরতে পারবেন।
  • পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর কিছু এড়িয়ে চলবেন।

 

দৃষ্টি আকর্ষণযে কোন পর্যটন স্থান আমাদের দেশের সম্পদ। এইসব স্থানের প্রাকৃতিক কিংবা সৌন্দর্য্যের জন্যে ক্ষতিকর এমন কিছু করা থেকে বিরত থাকবেন, অন্যদেরকেও উৎসাহিত করবেন। দেশ আমাদের, দেশের সকল কিছুর প্রতি যত্নবান হবার দায়িত্বও আমাদের।

সতর্কতা: হোটেল, রিসোর্ট, যানবাহন ভাড়া ও অন্যান্য খরচ সময়ের সাথে পরিবর্তন হয় তাই উল্লিখিত তথ্য বর্তমানের সাথে মিল নাও থাকতে পারে। তাই অনুগ্রহ করে আপনি কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার আগে বর্তমান ভাড়া ও খরচের তথ্য জেনে পরিকল্পনা করবেন।

বি.দ্রঃ সকল প্রকার দালাল/প্রতারক থেকে সাবধান। পথে অনেক সাবধানে চলবেন যেন কোনো প্রকার বিপদে না পরেন। যেকোনো সমস্যায় স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা নিবেন অথবা বাংলাদেশের জাতীয় জরুরী সেবা – ৯৯৯ এ কল করবেন।


যেকোন তথ্য অথবা ভ্রমণ সহায়তার জন্য যোগাযোগ করুন অথবা কমেন্ট করুন-
ইমেইল[email protected]

 

নতুন নতুন আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের ইউটিউব এবং সোশ্যাল চ্যানেলে-
ইউটিউব – https://www.youtube.com/@BiratBazar
ফেইসবুক – https://www.facebook.com/BiratBazarOfficial
→ টুইটার – https://twitter.com/BiratBazar
→ ইন্সটাগ্রাম – https://www.instagram.com/biratbazar/
থ্রেডস – https://www.threads.net/@biratbazar
লিংকড ইন – https://www.linkedin.com/company/biratbazar

 
অন্যান্য দর্শনীয় স্থানসমূহ

Leave a Reply